Skip to main content

Posts

Showing posts from 2014

গ্রীষ্মযাপন

                                            মাথার ওপর সিলিংফ্যানটাকে কেউ যেন টেনে ধরেছে , ঘুরছেই না যেন ! কেমন মিন মিন করে পাক খাচ্ছে ! কিছুক্ষন পর ঠিক যা আন্দাজ করেছিলাম তাই – ‘ক্যাঁও ক্যাঁও ’ করে বিচিত্র আওয়াজ করে এবার একদম স্থির হয়ে গেলো পাখা ! সব্বোনাশ ! এদিকে গরমে বস্ত্র উন্মোচন কত্তে কত্তে অন্তিম বস্ত্রখন্ডটিতে এসে পড়েছি । এরপর আর যাওয়া যাবে না ,গেলে তা সভ্যতার পরিপন্থী হবে ব্যাপারটা । অগত্যা আমাদের গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ( সধারনতঃ পুং) পোষাক বারমুডা নামক বিচিত্রদর্শন কটিবস্ত্রটি পরেই ছোটাছুটি – দৌড়া দৌড়ি লাঠি দিয়ে ,ঝুল ঝাড়া দিয়ে পাখাটার ওপর ঝাঁপিয়ে পরলাম – কৃত্রিম উপায় ঘুরিয়ে দিয়ে অনেক সময় চলতে শুরু করে সেই আশায় । অনেকটা ঠেলে গাড়ি স্টার্ট করার মতো । কিন্তু নাঃ ,নট নড়ন চড়ন । এরকম অভিজ্ঞতা আপনাদের হয়েছে কিনা জানিনা ,তবে না হয়ে থাকলে আপনার ভাগ্য প্রসন্ন । এই যেমন সুন্দর করে গন্ধ-সাবান দিয়ে স্নান সেরে গরমে পরার উপযুক্ত হাল্কা রঙএর পোষাক গায়ে চাপিয়েছেন কি চাপাননি – দুর্যোগের মত পাওয়ার কাট ! ব্যাস , কুল কুল করে বিভিন্ন শারীরিক সোঁতা বেয়ে ঘামের ধারা নেমে আসতে শুরু করলো , এমন নয় যে

বাংলার ৫ এবং...

এখন কেমন হড় হড় করে সব লিখে ফেলছি সবাই ! বাংলা –ইনরিজি – ১,২,৩...সংখ্যা । কিন্তু সেতো এত্ত এত্ত বছর কলম ঘসে ঘসে তবেইনা ! কিন্তু চিরকালই কি এরকম ছিলো ? না, আলবাত না । এই অক্ষর বা সংখ্যার কিছু বিশেষ বিশেষ চরিত্র ছিলো যারা আমায় বেশ বেগ দিয়েছে ,অপদস্থ করেছে পদে পদে । প্রথমেই যেমন মনে পড়ছে বাংলার ‘৫’ সংখ্যাটি ! এমনিতে এই সংখ্যাটিকে দেখলে মনে হয় নিতান্তই নিরীহ প্রকৃতির ,কোনো সাতে ৫এ থাকেনা ! কিন্তু ওই , যাকে বলে ‘পেটে পেটে’- ইনিও সেরকম । মা ,ইশকুলের দিদিমণি বার বার হাতে ধরে লিখিয়ে দিলেও কি এক অদ্ভুত ফর্মুলায় সেটা কিছুটা কাজুবাদাম ,কখনও বা কমলালেবুর কোয়ার মতো হয়ে যেত – এরহস্য কিছুতেই ভেদ হয়নি । শেষে একটা বুদ্ধি বের করি নিজেই , ‘৬’ লিখে লেজটা জুড়ে দিতে থাকলাম মাথার সঙ্গে – একবারে ল্যাজামুড়ো যাকে বলে । এতে দেখলাম বেশ কাজ হলো । গম্ভীর হলেও কানমলা থেকে দিদিমণিরা বিরত হলেন । সত্যি বলতে কি এখনও ওই থিওরি চালিয়ে যাচ্ছি । এবার আর এক জটিল চরিত্রের কথায় আসা যাক , সেটি হলো বর্গীয় ‘জ’ , আরও জ্বালা যদি এর সঙ্গে অন্য অক্ষর যুক্ত হয় ! যেমন ‘জ্ঞ’। সেই একই ব্যাপার ! ‘জ’ লিখে পিঠে একটা পুঁটলি এঁকে দিয়ে কাজ চা

ভোট-ভাটিং (পর্ব ২)

                                                       আপনাদের মধ্যে বাংলা সিনেমা কে কে দেখেন ? ধরে নিচ্ছি অনেকেই দেখেন । কিছুদিন আগে “২২শে শ্রাবণ” নামে একটা সিনেমা রিলিজ হয়েছিলো না ! যার গানগুলো বেশ ভালো । তাতে এক জায়াগায় একটা সিনে ছিলো এক পাগল কবি তার অনেকদিনের চাকরকে জিজ্ঞাসা করেছিলো “ এই বলতো গনতন্ত্র মানে কি ?” সে কিছুক্ষন ভেবে উত্তর দেয় “ ওই যে , পাঁচবছর পর পর একবার ভোট হয়” ঠিকইতো “গনতন্ত্র” মানে আমাদের কাছে তো তাই ! তাইনা ? পাঁচবছরে একবার করে ভোট হবে , টিভিতে , পেপারে হাওয়া গরম করবে , কে কোন দলের হয়ে দাঁড়াবে নতুন ,কারা কত তারকাকে মাঠে নামাতে পারবে( আহা ‘সমাজসেবা’র যেন এই একটাই উপায়!এতদিন কোথায় ছিলি ভাই!) – এইসব । তারপর ছুটির মুডে একদিন ভোট দিতে যাওয়া , ফল প্রকাশের দিন টি-২০ ক্রিকেট ম্যাচের আমেজে কার কি রেজাল্ট হলো তার উত্তেজনা তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করে পরদিন অফিসে,আড্ডায়, চায়ের ঠেকে উদ্দাম তর্ক । একটু আশপাশ দেখে নিয়ে সমালোচনা ব্যাস – এই আমাদের গনতন্ত্র ! মিছিলে-মিটিং অনেকেই যায় , সেতো ‘অমুক’দা বলেছে বলেইনা ! সঙ্গে জড়িয়ে থাকে নিজস্ব কিছু হিসেব নিকেশ । ওই ‘ছোট’ হিসেবগুলো থেকে

লিভইন Vs বিয়ে

মুশকিল হচ্ছে , তুমি আমার পক্ষে না হয় বিপক্ষে । প্রায় সব ক্ষেত্রেই এই সমীকরণ । কিন্তু এটা কি বাস্তবসম্মত ! মনে হয় না । আলোচ্য বিষয়টির ক্ষেত্রেও এরকম অবস্থান নিতে হবে জেনে বলি লিভিং টুগেদার ( এর চালু কোনও বাংলা এখনো আমার জানা নেই – এটারও একটা তাৎপর্য আছে) একটা ওপেন এন্ড বিষয় । মুলতঃ গভীর দায়বদ্ধতা ও দায়িত্ব থেকে নিরাপদ থাকার জন্য এই অবস্থানের সৃষ্টি , যাতে চট করে অল্প আয়াসে ‘সম্পর্ক’ থেকে বেড়িয়ে আসার রাস্তা খোলা থাকে । সমাজে ক্রমবর্ধমান এই ব্যবস্থা বলাই বাহুল্য জনপ্রিয় হচ্ছে ক্রমশ । উলটো দিকে বিয়ে নামক প্রতিষ্ঠানটিও এক সঙ্গে থাকার নামকরণ –যাতে একটা সামাজিক শীলমহর থাকে । এখন প্রশ্ন উঠতে পারে তাহলে এই ‘লিভিং...’ এর বিকল্প ব্যবস্থা কেন ? এটির জন্য মুলতঃ বিয়ে নামক প্রতিষ্ঠানটির বহুল অপব্যবহার দায়ী , তার সঙ্গে জুড়ে আছে ব্যক্তিগত সুবীধাবাদ । সম্পর্ক চূড়ান্ত অসুস্থ হয়ে পড়লে তা বহন করে চলা বুদ্ধিমত্তা নয় মেনে নিয়েও বলি এই অসুস্থতার কারণ যথেষ্ট হওয়া বাঞ্ছনীয় । বিবাহ নামক প্রতিষ্ঠানটি সম্পর্কের এই ‘ঠুনকোপনা’ থেকে রক্ষা করে এন্টিডোট এর মত । এছাড়াও মুলতঃ যে পাশ্চাত্য উন্নত দেশগুলি থেকে ‘লিভ টুগে

ভোট-ভাটিং পর্ব ১

প্রশ্নটা একরকম ঘেঁটেই গ্যাছে । কে –কি- কেন ইত্যাদি নানা আরো অনুসারী প্রশ্নে । পাব্লিক রেডি আরও পাঁচবছরের জন্য জুতোপেটা মাথায় নিতে । সে নতুন জুতোও হতে পারে –এই আশায় । দিকে দিকে রই রই কান্ড। দেহজীবিদের মতো প্রসাধনে উগ্রতার তার বেঁধে ভোটজীবি প্রানীকূল নড়াচড়া শুরু করেছে । চিরকালীন ভোটজীবিদের বাজারে এবার ভাগ মেরেছে লেখাজীবি,গানজীবি,অভিনয়জীবি...সমাজকর্মজীবি – সমষ্টিগতভাবে এদের ‘সুশীল’’ ‘বুদ্ধিজীবি’ ইত্যাদি নামেও পরচিতি আছে । এদিকে কাছাখোলা ফেসবুক-আনন্দবাজার ভোগী মধ্যবিত্ত ও মধ্যচিত্ত শ্রেনীর আবার সে কি গর্জন ! যেন এখুনি ঘুসি মেরে নাক ভেঙে দেবে ! “কেন এরা ? বেশ ছিলো তাঁত বুনছিলো ! ব্যাটা রাজনীতির কি বোঝে ? সুযোগ বুঝে সেয়ানা খেলছে ।” যেন নিজেরা বিরাট রাজনীতি বোঝে ! সুযোগ পেলে তুমুল পালটে দেবে দেশের হাল-হকিকৎ ! দল বদলুদের নিয়ে আবার একচোট ছিনালপনা দেখে সেকি ব্যাঙ্গ-বিদ্রুপ ! যেন বাপ –ঠাকুরদার কাউকে কোনওদিন দ্যাখেনি দল বদলাতে ! আরে বাবা এ তো যুগে যুগে দেশে দেশে  হয়েই এসেছে । একি শালা সলমনের ডায়ালগ “ একবার যো কমিটমেন্ট করাদিয়া...” বালাইষাট ! পলিটিক্যাল কমিটমেন্ট কি একতরফা থাকবে নাকি চিরকাল ! ত

আস্বামী

সকাল সকাল টি ভি দ্যাখাটা বদ অভ্যাস কিনা ঠিক জানা নেই , কিন্তু এ নিয়ে যে একটা ক্ষোভ আছে তা নানা ভাবে বুঝিয়ে দ্যান তিনি । কখনো সোচ্চারে , কখনোবা শব্দের ব্যাবহারের বিভিন্ন মাত্রায় । যেমন ' দড়াম ' করে দরজা বন্ধ হলো , চায়ের কাপটা ' ঠকাস ' করে নামিয়ে দিয়ে যাওয়া হোলো , ইত্যেদি । এছাড়াও আছে নির্দিষ্ট কিছু অভিযোগ , যা কিছু সংলাপের মাধ্যমে পাঠক জানতে পারবেন   যেমন - " উফ , আবার ভিজে তোয়ালেটা সোফার ওপর!!! ...যাচ্ছেতাই " " কতবার বলবো ? ছাড়া জামা-কাপড় ওয়াশিংমেসিনের মাথায় নয় , লন্ড্রী ব্যাগে রাখবে" " আমার পাঁচটা হাত নেই , তাই ব্রেকফাস্ট দিতে দেরী হতেই পারে , তাছাড়া এইতো চা খেলে বিস্কুট দিয়ে!!!" ...... ইত্যেদি । অভিযুক্ত এনিয়ে সাধারনত কোনো প্রতিবাদের পথে হাঁটেন না , কারন কিছু অপদস্থতার বিনিময় তার প্রাপ্তিও কম নয় , চারবেলা খাওয়া ও চা জুটে যায় দিব্যি । তাছাড়া এ সব অভিযোগের যৌক্তিক দিকটিও অস্বীকার করার উপায় নেই । পাঠক ভাববেন না অভিযোগ ও অপদস্থতার তালিকা এখানেই শেষ । এরপরও আছে সকাল ৯ টায় কাপড়কাচার পাউডারের হুকুম বিকেল ৫ টায় তামিল করার অপরাধ

ব্রান্ডেমাতরম

আপনার টুথপেস্টে কি নুন আছে ?   চমকেগেলে হবে না যদি নাথাকে তবে আপনার দাঁত কম সুরক্ষিত । এহেন বহু উপদেশ ,   আদেশ , সন্দেশ প্রতিদিন আমাদের ড্রয়িং রুমে আছড়ে পরছে । যেন আশীর্বাদের মতোই আমাদের জীবনযাপনকে সহজতর করে তোলার কত অভিনব উদ্যোগ ! একটু সজাগ থাকুন ও ব্র্যান্ডপ্রেমে নিজেকে সমর্পন করুন   কারন আপনি ঠেকিয়ে রাখতে পারবেন না । মেনকা বা উর্বশীর মতোই নানা বিভঙ্গে এরা ভেঙ্গে ফেলবে আপনার যাবতীয় সংযম প্রাচীর । কিছু আশীর্বাদের নমুনা এখানে আলোচনা করা যাক ধরুন কারও অতিরিক্ত বক বক করে মাথা ধরেছে , কোনো চিন্তা নেই আছে অমৃতাঞ্জন   বাম , লাগিয়ে ফেলুন মাথা ধরা হাপিস!! অফিসে স্কুলে রোজ নতুন জামা পরে যেতে চান , কিন্ত সম্ভব নয় ?... রিন ডিটারজেন্ট ব্যাবহার করে দেখতে পারেন। মহিলাদের যাচ্ছেতাইভাবে ইম্প্রেস করতে উদ্যোগী ?- এক্স ডিও-র একটা স্প্রেই কাফি । তবে সাবধান এই এফেক্ট   যে কোনো বয়সী মহিলার ওপরেই হতে পারে , সুতরাং...... চাইছেন ছেলে বা মেয়ে যথাক্রমে ঋত্বিক বা ক্যাট্রিনার মতো লম্বা হয়ে উঠুক ?... দুবেলা দু কাপ কমপ্ল্যান   দিয়ে যান , আর যদি চান ছেলেমেয়ে একই সঙ্গে টলার   স্ট্রংগার   আর শার্পার   হয়ে উঠ

জন্মদিন ৪০

... ... বেশ আবার একটা জম্মদিন চলে এলো । যতই কেতা করিনা কেন এই দিনটা এলে বেশ একটা ইয়ে ইয়ে লাগে । মনে হয় কি অদ্ভুত ! একটা গোটা দিনে আজ আমিই গুরুত্বপূর্ন একটা ব্যাপার ! ছোটবেলার কথা বাদ দিন , তখন মুখিয়ে থাকতাম কবে আবার জন্মদিন আসবে , এলেই ফুর্তি , মূল ব্যাপার নানা উপহার পাওয়ার একটা চান্স তৈরী হবে - বইটা (তখন বই দেওয়ার রেওয়াজ ছিলো ভাগ্যিস !) , পেনটা , এটা সেটা । বাবা -মা একটা নতুন জামা দিতেন ।পয়লা বৈশাখ আর পুজো ছাড়া এটা ছিলো বছরের তৃতীয় প্রাপ্তি   তা আনন্দ হবে না ! তার ওপর ছিলো পাড়ার কোয়ার্টারের আরো সম-অসম বয়সিদের সঙ্গ ে বেশ একটা খাওয়া দাওয়া । নাঃ খুব একটা বাহুল্য থাকতোনা সেসব জন্মদিনে যা করার মা-ই করতেন । বেশ উত্তেজনা হতো আরও একবছর বড় হয়ে গেলাম বলে , তখনতো আর জানতাম না ' বড় ' হওয়ার ঝকমারি কি কি এবং কোন কোন দিক থেকে কাহিল করে তুলতে পারে ! এখন জন্মদিন   এলে    উত্তেজনা হয়না , একটু কনফিউস হয়ে যাই আহ্লাদিত হবো  ! ভেবেনাকি হবোনা এই ভেবে! কারন এখনতো আর বড় হচ্ছিনা - বুড়োহচ্ছি ! কিন্তু সকালে ফেসবুক খুলে মনটা বেশ ভালো হয়ে গেলো -এই    কত্ত লোকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে দেখে ! কত লোকে ...তারা কেউ

বইমেলা সাফারি ১লা ফেব্রু ২০১৪

লাফিয়ে উঠতে গিয়ে ফটাস করে ব্যাগের স্ট্রাপ ছিঁড়ে ধপাস করে ব্যাগ রাস্তায়! অগত্যা আমাকেও হ্যাণ্ডেল্ধারি ঝুলন্তবস্থা থেকে নেমে যেতে হলো চলন্ত বাস থেকে । তারপর গোটা ছয়েক ভিড়ে উপচে বদহজম হয়ে যাওয়া বাস পেরিয়ে গেলো  চূরান্ত অবজ্ঞা করে , এক স্ট্যান্ডতুতো বন্ধু আশ্বাস দিলেন ঠিক নাকি বাস পেয়ে যাবো , এদিকে আমার নাকে ঘাম জমছে বিন বিন করে ,বাদ বাকি সব ব্যাগে চালান করলেও শোয়েটার গায় , সঙ্গে উদ্বেগ , প্রায় আড়াইটে বাজছে ! সৃষ্টির ৪৬৫ নং স্টলে পাঠের অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গেছে বোধহয় এতক্ষনে । যাইহোক শেষ পর্যন্ত বাস পেলাম ,গিয়ে নামলাম বিজ্ঞান শহর পেরিয়ে । সারিবদ্ধভাবে হাঁটতে লাগলাম বাঁশের নির্দিষ্ট ব্যারিকেড দিয়ে ,মনে পড়ে গেল কেন জানি 'সিন্ড্রেলারস লিস্ট' এর কিছু দৃশ্য ! চটকা ভাঙলো ব্যারিকেডের পাশেই বই বিক্রির ১০ টাকা পিস ! ১০ টাকা পিস শুনে ! তাহলে এসে গেলাম পৃথিবীর অদ্ভুততম ,অভিনবতম মেলায় -'কলকাতা বইমেলা'য়ে ! আরো কিছুটা গিয়ে ,সুড়ঙ্গ পেরিয়ে পৌঁছলাম মুল প্রাঙ্গনে ...আঃ ! কিন্তু ভিতর ঢূকেই সেই চিরকালীন বিপত্তি ! ঠিক আমার কেমন সব গুলিয়ে গেলো ! চারিধারে মাইক আর অমাইক লোকজন , মেটাল ডিটেকটারের হার

ধর্ম ও ষাঁড়

...মুশকিল হচ্ছে  ব্যাজার বকার ক্ষেত্রেও কিছু নিয়ম কানুন আছে । নিয়ম বা কানুন ততোটাই, যতটা মানা যায় , এখন  এই ষাঁড়ই বলুন আর ধর্মই বলুন  এরাও ওই নিয়মের মতোই - ঠিক যতটা আপনি মানবেন । কি একটু সন্দেহ হচ্ছে তো! মনে করছেন ব্যাটা নির্ঘাত নেশা করে কি বোর্ড থাবড়াচ্ছে !  না: , বিলকুল হোশ আউর আওয়াজ মে ... হতে পারে এটা একটা আগামী দুর্গাপূজার থিম হতে চলেছে। ষাঁড়ের ব্যাপারটা নিয়ে প্রথমে মাথা ঘামিয়ে দেখলাম , হ্যাঁ ঠিক তাই ! সেই একই রকম আপাত শান্ত  দূর থেকে কিন্তু যেইনা কাছে গেছেন মেজাজ দেখিয়ে বিচ্ছিরি ব্যাবহার করবে । একান্ত শিং এ তুলে থ্রো না করলেও খুব রুঢ় ব্যাবহার করবেই । একমাত্র গাই দেখলে ও মুফতের আনাজপাতি দেখলে এনারা একটু বিগলিত হন । তখন হাঁকপাঁক করে এক খাবল আনাজ তুলে নিয়ে মাথা নেড়ে টেরে দুল্কিচালে চলে যান , গাই দেখলে বেশ স্পোর্টি হয়ে লাফ-ঝাঁপ করতে থাকেন । খবরদার ! এই সময়ে ত্রিসীমানায় থাকবেন না , তাহলে হাওয়া টাইট ।  এদিকে ধর্মেরও আবার দুটো কান, দুটো শিং , এবং  এঁড়ে ! দুকানে যদি তেমন অধর্মের কথা শোনে অনেকটা লাল কাপড় বা ছাতা খোলা দেখে ষাঁড়ের মতোই শিং বাগিয়ে তেড়ে আসবে । দোরে দোরে মুফতের আনাজের মতো

শীতের ভাবসম্প্রসারন (নিজের মতো)

আগে , মানে ছোটোবেলায় ঋতুগুলো বেশ খবর দিয়ে – চিঠিপত্র দিয়ে আসতো । এখন যেন এটা ওটার ঘাড়ে পড়ে কেমন গুলিয়ে যায় । গ্রীষ্মটা কান ধরে বুঝিয়ে ছাড়ে , বাদবাকি মাঝের ঋতুগুলো কেমন উবে গেছে যেন ! টিভিতে ময়শ্চারাইজার , কোল্ড ক্রিম বা এন্টি ড্যানড্রাফ শ্যাম্পুর  বিজ্ঞাপনের ঘন ঘন আসা আর কোল্ড ড্রিংকের বিরল হতে থাকা বিজ্ঞাপন ,কখনও বা বদলে যেতে থাকা ক্যালেন্ডারের পাতা মনে করিয়ে দেয় শীত আসছে । জন্ম – বড় হওয়া সবকিছুই দুর্গাপুরে হওয়ায় ছোটবেলার শীত বেশ জমকালো ছিলো । যেমন ছিলো হাড়ে কাঁপুনি ধরিয়ে দেওয়া হাওয়া, তেমনই ছিলো তাপাঙ্কের নিরন্তর নেমে চলা -৫- ৪.৫ ডিগ্রি ,প্রায় প্রতি শীতকালেই নামতো ! তার সঙ্গে ছিলো হাওয়া , যে হাওয়া গ্রীষ্মে লু-য়ে পরিনত হতো – কারন দুর্গাপুর শিল্প শহর ভৌগলিকভাবে লালমাটির মালভুমি ও অসমান টিলা , পাথুরে লাল মাটি , শাল সহ  আরো বহুগাছের বাহারে অপরূপ। এমন সাজানো ,পরিকল্পিত শহর এ বাংলায় আর দুটি নেই – এ নিয়ে আজও আমার অহংকারের শেষ নেই । এমনিতেই সবারই নিজের ছোটবেলার জায়গা বা জন্মস্থানের প্রতি একটা দুবর্লতা থাকেই , তার ওপর সে শহর যদি দুর্গাপুরের মতো হয় তাহলে তো কথাই নেই ! ঐ শীতের স