Skip to main content

Posts

Showing posts from 2015

ইন্দ্রনীলের ব্লগ-বক: ধর্ম ও ষাঁড়

ইন্দ্রনীলের ব্লগ-বক: ধর্ম ও ষাঁড় : ...মুশকিল হচ্ছে  ব্যাজার বকার ক্ষেত্রেও কিছু নিয়ম কানুন আছে । নিয়ম বা কানুন ততোটাই, যতটা মানা যায় , এখন  এই ষাঁড়ই বলুন আর ধর্মই বলুন  এরাও ...

অধর্ম

[ আমরা কেউ ধর্মে বিশ্বাস করি, কেউ হয়তো ধর্মকে পরিত্যাগ করিনি, কিন্তু ধর্ম নিয়ে মাথাও ঘামাই না, কেউ কট্টর নাস্তিক আবার কেউ বা ধর্মনিরপেক্ষ - কিন্তু একটা জায়গায় আমাদের গভীর মিল আছে, আমরা সবাই বাকস্বাধীনতায় প্রবলভাবে বিশ্বাসী। আর সেই জন্যই রাজীব হায়দার, অভিজিৎ রায়, ওয়াশিকুর রহমান, অনন্ত বিজয় দাস, নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায়রা যে কথাগুলো বলতে চেয়ে প্রাণ হারালেন, সে কথাগুলো যাতে হারিয়ে না যায় তার জন্য আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাব। ওঁদের সঙ্গে আমাদের মতাদর্শের মিল আছে কি নেই সেটা এই মুহূর্তে অবান্তর প্রশ্ন। কিন্তু মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সমর্থনে সারা বিশ্ব জুড়ে একাধিক ব্লগার কিবোর্ড নিয়ে বসেছেন, সেই লেখাগুলো সঙ্কলিত করে দেওয়া হল পাঠকদের জন্য - তালিকাটি দেখা যাবে এই ব্লগপোস্টের শেষে।]    কি বলি বলুন তো  !এমন কিছু নতুন তো বলতে পারছি না যা আগে শোনেননি বা পড়েননি । এই নির্দিষ্ট  বিষয় নিয়ে হাজার হাজার শব্দ উচ্চারিত হয়েছে , লেখা হয়েছে । কেউ কিছু একটা লিখবে ,তার মতে , তার বিশ্বাস থেকে কিংবা বলবে- অমনি ঘাড়ে পড়বে 'চাপাতি' ! বেশ নাম ডাক হয়েছে ইদানীং এই যন্ত্রটির । কুপিয়ে দিয়ে তবেই শান্তি স্

বর্ষা -নামা

কেমন প্যাচপেচে গরম দেখেছেন ! ...বর্ষাকাল এরকমই , টানা বৃষ্টি, নয়তো গুমোট গরমে একেবারে ন্যাতা হতে হবে ঘেমে ঘেমে । এখন ব্যাপার হচ্ছে সবার তো দিনের সব সময়েই বাতানুকূল থাকার সুযোগ নেই । আর এ.সি থেকে বেরলেই ব্যাস ! বিচ্ছিরি-ভাবে মনে হবে যেন নরকের দরজায় এসে গেলাম । ঘামতে ঘামতে একটু জুড়িয়ে নেওয়ার কিন্তু কিছু উপায় আমাদের উদ্ভাবনী শক্তি ঠিক খুঁজে বের করেই ... কন্ডাকটরের হাজার অনুরোধেও দরজার কাছ ছেড়ে বাসের ভিতরে না যাওয়া ।জামার হাতা একটু টেনে একটু বাড়তি জায়গা করে দেওয়া যাতে বাহুমূল বরাবর বাতাসের যাতায়াত মসৃণ হয় ।  জামার বুকের কাছটা টেনে -নামিয়ে বার বার বিচিত্র পদ্ধতিতে হাওয়া পাম্প করে ভিতরে চালান করা  - এটা বেশ কার্যকর । কেউ কেউ ঘাড়ে রুমাল রাখেন ,বেশ একটা মেজাজি মেজাজি লুক এলেও আসল কারণ হচ্ছে ঘাড় দিয়ে গড়িয়ে ঘামের পিঠ বেয়ে নামাকে নিয়ন্ত্রণ করা এবং জামার কলারটিকে রক্ষা করাও কিছু শৌখিন লোকের চিন্তা ভাবনায় থাকে । এক সময়ে দেখতাম ব্যাঙেরা বর্ষায় বেশ উল্লসিত/উত্তেজিত হয় , এখনও হয় নিশ্চয়ই ,তবে তেমন করে ব্যাঙেদের কোরাস শুনতে পাই আর কোথায় । উল্লসিত বা উত্তেজিত আমরাও কি কম হই !  নিজের নিজের কারণ

নামকে ওয়াস্তে ...

বন্ধুর বাবার নাম ‘মোনালিসা’ !! কি ! হেঁচকি উঠলো তো ? ...কিংবা পাড়ার দুই যমোজ বোনের নাম ‘ জেরক্স’  ! এই জেরক্সের ব্যাপারটা বুঝলেও  বাবার নাম মোনালিসা –এটা একটু দুর্বোধ্য ঠেকতে বাধ্য । ব্যাপার হচ্ছে –সিম্পল – বন্ধুর বাবার পার্মানেন্ট মুখভঙ্গিটা এমনই যে কিছু দাঁত সব সময়ে বেড়িয়ে থাকে ,হঠাৎ করে কেউ দেখলে বিভ্রান্ত হতে বাধ্য – উনি বুঝি হাসছেন ! কিন্তু ওনার এটাই গড়পরতা এক্সপ্রেসন ! – এই হাসি -হাসিনয় রহস্যময়তার জন্যই – মোনালিসা নামকরন । কে কবে এই যথার্ত নামকরন করেছিলো আজ আর মনে নেই ।  সব বাবাদেরই একটা করে গোপন নাম ছিলো যা একমাত্র বন্ধু মহলেই ব্যাবহার করা হতো । যেমন – ‘স্মার্ট বয়’ ‘উৎপল(দত্ত)’, ‘জেমস বন্ড’ , ‘অমরীশ পুরি’ , ‘দিলীপকুমার’, ‘নাকাবন্দি’ ...আরও কত । ছিলো বন্ধুদেরও নাম ,যেমন ‘আঁতলা (আঁতেল)’ ‘টাকলা’ ‘লেটুয়া(ল্যাটা)’ ‘কাতলা’ , ‘এল কে (লাথখোর)’... আরও কত কি ! সব কি আর মনে আছে ছাই । স্কুলে স্যারেদেরও বেশ কিছু নাম ছিলো বেশ জনপ্রিয় যথা ‘ব্রেকড্যান্স’(নেচে নেচে নানান অঙ্গভঙ্গী করে পড়াতেন বলে) বা ‘মুকেশ’(নাকি সুরে পড়াতেন বলে) **এখন হলে হয়তো ‘হিমেশ’ হতো !! না না! এসব নামকরন স্রেফ ফাজ