Skip to main content

Posts

Showing posts from May, 2014

বাংলার ৫ এবং...

এখন কেমন হড় হড় করে সব লিখে ফেলছি সবাই ! বাংলা –ইনরিজি – ১,২,৩...সংখ্যা । কিন্তু সেতো এত্ত এত্ত বছর কলম ঘসে ঘসে তবেইনা ! কিন্তু চিরকালই কি এরকম ছিলো ? না, আলবাত না । এই অক্ষর বা সংখ্যার কিছু বিশেষ বিশেষ চরিত্র ছিলো যারা আমায় বেশ বেগ দিয়েছে ,অপদস্থ করেছে পদে পদে । প্রথমেই যেমন মনে পড়ছে বাংলার ‘৫’ সংখ্যাটি ! এমনিতে এই সংখ্যাটিকে দেখলে মনে হয় নিতান্তই নিরীহ প্রকৃতির ,কোনো সাতে ৫এ থাকেনা ! কিন্তু ওই , যাকে বলে ‘পেটে পেটে’- ইনিও সেরকম । মা ,ইশকুলের দিদিমণি বার বার হাতে ধরে লিখিয়ে দিলেও কি এক অদ্ভুত ফর্মুলায় সেটা কিছুটা কাজুবাদাম ,কখনও বা কমলালেবুর কোয়ার মতো হয়ে যেত – এরহস্য কিছুতেই ভেদ হয়নি । শেষে একটা বুদ্ধি বের করি নিজেই , ‘৬’ লিখে লেজটা জুড়ে দিতে থাকলাম মাথার সঙ্গে – একবারে ল্যাজামুড়ো যাকে বলে । এতে দেখলাম বেশ কাজ হলো । গম্ভীর হলেও কানমলা থেকে দিদিমণিরা বিরত হলেন । সত্যি বলতে কি এখনও ওই থিওরি চালিয়ে যাচ্ছি । এবার আর এক জটিল চরিত্রের কথায় আসা যাক , সেটি হলো বর্গীয় ‘জ’ , আরও জ্বালা যদি এর সঙ্গে অন্য অক্ষর যুক্ত হয় ! যেমন ‘জ্ঞ’। সেই একই ব্যাপার ! ‘জ’ লিখে পিঠে একটা পুঁটলি এঁকে দিয়ে কাজ চা

ভোট-ভাটিং (পর্ব ২)

                                                       আপনাদের মধ্যে বাংলা সিনেমা কে কে দেখেন ? ধরে নিচ্ছি অনেকেই দেখেন । কিছুদিন আগে “২২শে শ্রাবণ” নামে একটা সিনেমা রিলিজ হয়েছিলো না ! যার গানগুলো বেশ ভালো । তাতে এক জায়াগায় একটা সিনে ছিলো এক পাগল কবি তার অনেকদিনের চাকরকে জিজ্ঞাসা করেছিলো “ এই বলতো গনতন্ত্র মানে কি ?” সে কিছুক্ষন ভেবে উত্তর দেয় “ ওই যে , পাঁচবছর পর পর একবার ভোট হয়” ঠিকইতো “গনতন্ত্র” মানে আমাদের কাছে তো তাই ! তাইনা ? পাঁচবছরে একবার করে ভোট হবে , টিভিতে , পেপারে হাওয়া গরম করবে , কে কোন দলের হয়ে দাঁড়াবে নতুন ,কারা কত তারকাকে মাঠে নামাতে পারবে( আহা ‘সমাজসেবা’র যেন এই একটাই উপায়!এতদিন কোথায় ছিলি ভাই!) – এইসব । তারপর ছুটির মুডে একদিন ভোট দিতে যাওয়া , ফল প্রকাশের দিন টি-২০ ক্রিকেট ম্যাচের আমেজে কার কি রেজাল্ট হলো তার উত্তেজনা তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করে পরদিন অফিসে,আড্ডায়, চায়ের ঠেকে উদ্দাম তর্ক । একটু আশপাশ দেখে নিয়ে সমালোচনা ব্যাস – এই আমাদের গনতন্ত্র ! মিছিলে-মিটিং অনেকেই যায় , সেতো ‘অমুক’দা বলেছে বলেইনা ! সঙ্গে জড়িয়ে থাকে নিজস্ব কিছু হিসেব নিকেশ । ওই ‘ছোট’ হিসেবগুলো থেকে

লিভইন Vs বিয়ে

মুশকিল হচ্ছে , তুমি আমার পক্ষে না হয় বিপক্ষে । প্রায় সব ক্ষেত্রেই এই সমীকরণ । কিন্তু এটা কি বাস্তবসম্মত ! মনে হয় না । আলোচ্য বিষয়টির ক্ষেত্রেও এরকম অবস্থান নিতে হবে জেনে বলি লিভিং টুগেদার ( এর চালু কোনও বাংলা এখনো আমার জানা নেই – এটারও একটা তাৎপর্য আছে) একটা ওপেন এন্ড বিষয় । মুলতঃ গভীর দায়বদ্ধতা ও দায়িত্ব থেকে নিরাপদ থাকার জন্য এই অবস্থানের সৃষ্টি , যাতে চট করে অল্প আয়াসে ‘সম্পর্ক’ থেকে বেড়িয়ে আসার রাস্তা খোলা থাকে । সমাজে ক্রমবর্ধমান এই ব্যবস্থা বলাই বাহুল্য জনপ্রিয় হচ্ছে ক্রমশ । উলটো দিকে বিয়ে নামক প্রতিষ্ঠানটিও এক সঙ্গে থাকার নামকরণ –যাতে একটা সামাজিক শীলমহর থাকে । এখন প্রশ্ন উঠতে পারে তাহলে এই ‘লিভিং...’ এর বিকল্প ব্যবস্থা কেন ? এটির জন্য মুলতঃ বিয়ে নামক প্রতিষ্ঠানটির বহুল অপব্যবহার দায়ী , তার সঙ্গে জুড়ে আছে ব্যক্তিগত সুবীধাবাদ । সম্পর্ক চূড়ান্ত অসুস্থ হয়ে পড়লে তা বহন করে চলা বুদ্ধিমত্তা নয় মেনে নিয়েও বলি এই অসুস্থতার কারণ যথেষ্ট হওয়া বাঞ্ছনীয় । বিবাহ নামক প্রতিষ্ঠানটি সম্পর্কের এই ‘ঠুনকোপনা’ থেকে রক্ষা করে এন্টিডোট এর মত । এছাড়াও মুলতঃ যে পাশ্চাত্য উন্নত দেশগুলি থেকে ‘লিভ টুগে