Skip to main content

আস্বামী

সকাল সকাল টি ভি দ্যাখাটা বদ অভ্যাস কিনা ঠিক জানা নেই , কিন্তু এ নিয়ে যে একটা ক্ষোভ আছে তা নানা ভাবে বুঝিয়ে দ্যান তিনি । কখনো সোচ্চারে, কখনোবা শব্দের ব্যাবহারের বিভিন্ন মাত্রায় । যেমন 'দড়াম' করে দরজা বন্ধ হলো , চায়ের কাপটা 'ঠকাস' করে নামিয়ে দিয়ে যাওয়া হোলো , ইত্যেদি ।

এছাড়াও আছে নির্দিষ্ট কিছু অভিযোগ , যা কিছু সংলাপের মাধ্যমে পাঠক জানতে পারবেন
 
যেমন -

" উফ, আবার ভিজে তোয়ালেটা সোফার ওপর!!! ...যাচ্ছেতাই "

"কতবার বলবো ? ছাড়া জামা-কাপড় ওয়াশিংমেসিনের মাথায় নয়, লন্ড্রী ব্যাগে রাখবে"


" আমার পাঁচটা হাত নেই , তাই ব্রেকফাস্ট দিতে দেরী হতেই পারে , তাছাড়া এইতো চা খেলে বিস্কুট দিয়ে!!!"

......ইত্যেদি ।

অভিযুক্ত এনিয়ে সাধারনত কোনো প্রতিবাদের পথে হাঁটেন না , কারন কিছু অপদস্থতার বিনিময় তার প্রাপ্তিও কম নয় , চারবেলা খাওয়া ও চা জুটে যায় দিব্যি । তাছাড়া এ সব অভিযোগের যৌক্তিক দিকটিও অস্বীকার করার উপায় নেই ।

পাঠক ভাববেন না অভিযোগ ও অপদস্থতার তালিকা এখানেই শেষ । এরপরও আছে
সকাল ৯ টায় কাপড়কাচার পাউডারের হুকুম বিকেল ৫ টায় তামিল করার অপরাধ

আছে ,যথাসময়ে 'তাঁর' মোবাইলে "টপ আপ" না করে দেওয়ায় বাপের বাড়ির সঙ্গে নিরবিচ্ছিন্ন যোগাযোগের ছেদ এবং এক্ষেত্রে "পক্ষপাতদুষ্ট'' হওয়ার দায় ......ইত্যেদি ।

ইদানিং আরও কিছু নতুন কার্যকলাপ দ্যাখা যাচ্ছে প্রশাসকের দিক দিয়ে যার ব্যাখা দেওয়া বেশ কঠিন । ধরা যাক কোনো একদিন বাড়ি ফিরতে দেরী হোলো ......রাত ১০ টার জায়গায় রাত সাড়ে ১০ টা বাজলো , অমনি সমানুপাতিক হারে এর পরবর্তি কাজ গুলো দেরীতে করা হবে 'তাঁর' তরফে , যেমন - ফেরা দেরী - খাওয়া পেতে দেরী - শুতে দেরী......ইত্যেদি ।

সাম্প্রতিক একটি ঘটনা বেশ গুরুত্ত্বপুর্ন । এক বন্ধু তার সন্তান হওয়ার আনন্দে একদিন পান-ভোজনের আমন্ত্রন করে , সেখান থেকে যথারিতি সুস্থ অবস্থায় ফিরে পরেরদিন সকালে 'তাঁর' সুকৌশলী প্রশ্নের উত্তরে আগের দিনের উদযাপনের বিবরন দেওয়ার পর 'তিনি' বললেন - " আচ্ছা এখানে ডান্সবার নেই?......তাহলে তোমাদের 'মস্তি' আরো জোরদার হতো!!"- এহেন অপমানকর উক্তির কারন আগেরদিন রাতে শৌখিন ভাবে নেওয়া কয়েক আউন্স "ব্লেন্ডার্স প্রাইড''

এরপর অভিযুক্তের বিপ্লবী সত্তা প্রবলভাবে জেগে ওঠে এবং সে যায় এক বন্ধুর বাড়ি , সেখানে যাবতীয় ক্ষোভ উগরে দেওয়ার পর বন্ধু সমব্যাথী হলেও বন্ধুপত্নী সহাস্যে বললেন এতে অবাক বা অপমানিত হওয়ার কিছুনেই ,কারন তাঁর মুল্যায়ন হোলো " স্বামী হোলো গৃহপালিত প্রাণী, খাবে কম , দুধ দেবে বেশী "



পরিশেষে - ইদানিং আর কোনো 'বৈপ্লবিক' কার্যকলাপে যুক্ত না হওয়ার ব্রতে ব্রতী হয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে আমাদের শ্রীমান 'অভিযুক্ত' মহাশয় ।
 


Comments

  1. heavvy hoyeche.... happy blogging !

    ReplyDelete
    Replies
    1. :) তাহলে মন খুলে ব্লগাই

      Delete
  2. Tito da, bon tike observe korle r o ei bishoyok lekhar upokaran paben. Jai hok jokes apart.... khub valo lekha.

    ReplyDelete
    Replies
    1. হে হে হে ... মেয়েরা বিয়ের পর সব কেমন একরকম হয়ে যায় :P

      Delete
  3. bokshi dada ektai kotha....boudi ja koreche besh koreche'..:D

    ReplyDelete
  4. This comment has been removed by the author.

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular posts from this blog

অধর্ম

[ আমরা কেউ ধর্মে বিশ্বাস করি, কেউ হয়তো ধর্মকে পরিত্যাগ করিনি, কিন্তু ধর্ম নিয়ে মাথাও ঘামাই না, কেউ কট্টর নাস্তিক আবার কেউ বা ধর্মনিরপেক্ষ - কিন্তু একটা জায়গায় আমাদের গভীর মিল আছে, আমরা সবাই বাকস্বাধীনতায় প্রবলভাবে বিশ্বাসী। আর সেই জন্যই রাজীব হায়দার, অভিজিৎ রায়, ওয়াশিকুর রহমান, অনন্ত বিজয় দাস, নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায়রা যে কথাগুলো বলতে চেয়ে প্রাণ হারালেন, সে কথাগুলো যাতে হারিয়ে না যায় তার জন্য আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাব। ওঁদের সঙ্গে আমাদের মতাদর্শের মিল আছে কি নেই সেটা এই মুহূর্তে অবান্তর প্রশ্ন। কিন্তু মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সমর্থনে সারা বিশ্ব জুড়ে একাধিক ব্লগার কিবোর্ড নিয়ে বসেছেন, সেই লেখাগুলো সঙ্কলিত করে দেওয়া হল পাঠকদের জন্য - তালিকাটি দেখা যাবে এই ব্লগপোস্টের শেষে।]    কি বলি বলুন তো  !এমন কিছু নতুন তো বলতে পারছি না যা আগে শোনেননি বা পড়েননি । এই নির্দিষ্ট  বিষয় নিয়ে হাজার হাজার শব্দ উচ্চারিত হয়েছে , লেখা হয়েছে । কেউ কিছু একটা লিখবে ,তার মতে , তার বিশ্বাস থেকে কিংবা বলবে- অমনি ঘাড়ে পড়বে 'চাপাতি' ! বেশ নাম ডাক হয়েছে ইদানীং এই যন্ত্রটির । কুপিয়ে দিয়ে তবেই শান্তি স্

নামকে ওয়াস্তে ...

বন্ধুর বাবার নাম ‘মোনালিসা’ !! কি ! হেঁচকি উঠলো তো ? ...কিংবা পাড়ার দুই যমোজ বোনের নাম ‘ জেরক্স’  ! এই জেরক্সের ব্যাপারটা বুঝলেও  বাবার নাম মোনালিসা –এটা একটু দুর্বোধ্য ঠেকতে বাধ্য । ব্যাপার হচ্ছে –সিম্পল – বন্ধুর বাবার পার্মানেন্ট মুখভঙ্গিটা এমনই যে কিছু দাঁত সব সময়ে বেড়িয়ে থাকে ,হঠাৎ করে কেউ দেখলে বিভ্রান্ত হতে বাধ্য – উনি বুঝি হাসছেন ! কিন্তু ওনার এটাই গড়পরতা এক্সপ্রেসন ! – এই হাসি -হাসিনয় রহস্যময়তার জন্যই – মোনালিসা নামকরন । কে কবে এই যথার্ত নামকরন করেছিলো আজ আর মনে নেই ।  সব বাবাদেরই একটা করে গোপন নাম ছিলো যা একমাত্র বন্ধু মহলেই ব্যাবহার করা হতো । যেমন – ‘স্মার্ট বয়’ ‘উৎপল(দত্ত)’, ‘জেমস বন্ড’ , ‘অমরীশ পুরি’ , ‘দিলীপকুমার’, ‘নাকাবন্দি’ ...আরও কত । ছিলো বন্ধুদেরও নাম ,যেমন ‘আঁতলা (আঁতেল)’ ‘টাকলা’ ‘লেটুয়া(ল্যাটা)’ ‘কাতলা’ , ‘এল কে (লাথখোর)’... আরও কত কি ! সব কি আর মনে আছে ছাই । স্কুলে স্যারেদেরও বেশ কিছু নাম ছিলো বেশ জনপ্রিয় যথা ‘ব্রেকড্যান্স’(নেচে নেচে নানান অঙ্গভঙ্গী করে পড়াতেন বলে) বা ‘মুকেশ’(নাকি সুরে পড়াতেন বলে) **এখন হলে হয়তো ‘হিমেশ’ হতো !! না না! এসব নামকরন স্রেফ ফাজ

গ্রীষ্মযাপন

                                            মাথার ওপর সিলিংফ্যানটাকে কেউ যেন টেনে ধরেছে , ঘুরছেই না যেন ! কেমন মিন মিন করে পাক খাচ্ছে ! কিছুক্ষন পর ঠিক যা আন্দাজ করেছিলাম তাই – ‘ক্যাঁও ক্যাঁও ’ করে বিচিত্র আওয়াজ করে এবার একদম স্থির হয়ে গেলো পাখা ! সব্বোনাশ ! এদিকে গরমে বস্ত্র উন্মোচন কত্তে কত্তে অন্তিম বস্ত্রখন্ডটিতে এসে পড়েছি । এরপর আর যাওয়া যাবে না ,গেলে তা সভ্যতার পরিপন্থী হবে ব্যাপারটা । অগত্যা আমাদের গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ( সধারনতঃ পুং) পোষাক বারমুডা নামক বিচিত্রদর্শন কটিবস্ত্রটি পরেই ছোটাছুটি – দৌড়া দৌড়ি লাঠি দিয়ে ,ঝুল ঝাড়া দিয়ে পাখাটার ওপর ঝাঁপিয়ে পরলাম – কৃত্রিম উপায় ঘুরিয়ে দিয়ে অনেক সময় চলতে শুরু করে সেই আশায় । অনেকটা ঠেলে গাড়ি স্টার্ট করার মতো । কিন্তু নাঃ ,নট নড়ন চড়ন । এরকম অভিজ্ঞতা আপনাদের হয়েছে কিনা জানিনা ,তবে না হয়ে থাকলে আপনার ভাগ্য প্রসন্ন । এই যেমন সুন্দর করে গন্ধ-সাবান দিয়ে স্নান সেরে গরমে পরার উপযুক্ত হাল্কা রঙএর পোষাক গায়ে চাপিয়েছেন কি চাপাননি – দুর্যোগের মত পাওয়ার কাট ! ব্যাস , কুল কুল করে বিভিন্ন শারীরিক সোঁতা বেয়ে ঘামের ধারা নেমে আসতে শুরু করলো , এমন নয় যে