Skip to main content

রং কানেকশান !

শীতটা বেশ কড়া পড়েছে তাইনা! তা মকরসংক্রান্তির দিন এরকম শীতের একটু মস্তানী না হলে চলে! তা এই শীতের ব্যাপারে আমি আবার ইন্ডিয়ান রেল কিংবা নিদেনপক্ষে এয়ার ইন্ডিয়ার বেশ একটা যোগ খুঁজে পাই! মানে ওই টাইমিং ফাইমিং সংক্রান্ত আরকিl
আজকাল এরকম খুবই হচ্ছে আমার বুজলেন! একটা জিনিসের সঙ্গে অন্য আর একটা জিনিসের সঙ্গে বা ঘটনার সঙ্গে অদ্ভুত মিল খুঁজে পাচ্ছি! এদিকে দুটো ব্যাপারের কোনো যোগসুত্র নেই একেবারেই! ...তা এই যেমন মটর শুঁটি ছাড়ানোর সঙ্গে দুর্নীতির একটা সম্পর্ক আবিষ্কার করলাম , না মানে ভেবে দেখুন ব্যাপারটা অনেকটা একই রকম , মটরশুঁটি ছাড়াতে দেওয়া হলো আপনাকে এক কেজি তারমধ্যে কমপক্ষে ১০০ গ্রাম আপনি ছাড়াতে ছাড়াতে সাবড়ে দিলেন - এ কিন্তু অতি সাধারন একটি পারিবারিক নির্মল দূর্নীতি , গিন্নিও জানেন ছাড়াতে দিয়ে তিনি ৯০০ গ্রামই ফেরত পাবেন - এই আর কি l
আবার মিউচুয়াল ফান্ডের সঙ্গে পরকীয়ার কেমন যেন একটা যোগ রয়েছে! অভ্যস্ত ঝুঁকিহীন বিনিয়োগে বোর হয়ে বেশী ডিভিডেন্টের লোভে কিংবা নিষিদ্ধ উত্তেজনার সুদের লোভে ফাণ্ডে বিনিয়োগ করলেন , দেখা গেল নির্দিষ্ট সময়ে আপনার বিনিয়োগ হয়তো একই জায়গায় রয়েছে বা নেই! যতই হোক দুটোই Subject to market risk সাবধান বাণী নিয়ে এসেছেl
এদিকে পুরানো অন্তর্বাসের সঙ্গে ,মানে এই গেঞ্জীটেঞ্জী ইত্যাদির সঙ্গে পুরানো দাম্পত্যের একটা সম্পর্ক রয়েইছে l দুটোই পুরানো ,জৌলুসহীন ,ঢিলেঢালা ...কিন্তু আরাম দায়ক ,ফেলব ফেলব করেও ফেলা যায় না l
ধরুন রবিবারে বাজারে আপনি মুরগীর মাংস কিনতে গেছেন , অল্প লাইনে কিছু সদা সচেতন খরিদ্দার থাকবেই .." এই এ দিকটা একটু চেঁচে ...আহা ওটা আবার কি তুল্লে , জানোইতো তোমার বউদি ওসব পছন্দ করে না!... না না আমায় ওই ছাড়ানো থেকে দেবে না কিন্তু ...ফ্রেশ ছাড়িয়ে দাও ...হ্যাঁ ঐটা ..হ্যাঁ …বেশ চনমনে .." - এখন মুরগীওয়ালা যে কি বিপদে পড়েছে একমাত্র সেই ভালো বলতে পারবে ! কিন্তু ভাবুন একবার এর সঙ্গে ছেলেমেয়ের পাত্র বা পাত্রী দেখার কত্ত মিল! তাই না?

এখন এই শীতকাল হচ্ছে না না উত্‍সবের সময় , এই মেলা সেই মেলা ,সর্বপরি বই মেলা l যার অপেক্ষায় সারা বছর কাটছে লেখক , প্রকাশকদের,দশদিনের মহাপার্বণ l এখানে একটা জন্ম পর্ব চলে ,নতুন সাহিত্যের ,নতুন সাহিত্যিকের ..নানা জাতের কলমচির l প্রকাশকের বিদগ্ধ ও নিপুন হাতে নেমে আসছে নতুন নতুন সিজারিয়ান বেবী ! যারা জন্মের আগে থেকেই বেশ সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিচ্ছেন ...এদের কেউ প্রিডেটেড ,কেউ বা পোস্ট ডেটেট নবজাতক l বইমেলার একদিক যেন একটা বৃহত্‍ মেটারনিটি ওয়ার্ড ,আর প্রকাশকরা দক্ষ ডাক্তার , তবে খুব ব্যাস্ততার জন্য সময় কম তাই বেশীরভাগই সিজারিয়ান হচ্ছে পরিমানবাদকে গুরুত্ব দিয়ে l

সময় সময় এইসব উদ্ভট চিন্তা মাথায় বাসা বাঁধে ,তখন ট্রাফিক পুলিশকে কাকতারুয়া মনে হয় ,টো টো চালক যখন নোট বন্দি বা রাজনীতি নিয়ে কথা বলে নিজেকে পার্থ আর টোটো চালককে পার্থ সারথী মনে হয়!
শুধু খেয়াল থাকে না আমার নিজের সঙ্গে বাউন্স হওয়া চেকের মিল থেকে গেল কিনা ! যাতে ট্যাগ লাগানো রয়েছে ..Cancelled for insufficient balance.!

Comments

Popular posts from this blog

অধর্ম

[ আমরা কেউ ধর্মে বিশ্বাস করি, কেউ হয়তো ধর্মকে পরিত্যাগ করিনি, কিন্তু ধর্ম নিয়ে মাথাও ঘামাই না, কেউ কট্টর নাস্তিক আবার কেউ বা ধর্মনিরপেক্ষ - কিন্তু একটা জায়গায় আমাদের গভীর মিল আছে, আমরা সবাই বাকস্বাধীনতায় প্রবলভাবে বিশ্বাসী। আর সেই জন্যই রাজীব হায়দার, অভিজিৎ রায়, ওয়াশিকুর রহমান, অনন্ত বিজয় দাস, নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায়রা যে কথাগুলো বলতে চেয়ে প্রাণ হারালেন, সে কথাগুলো যাতে হারিয়ে না যায় তার জন্য আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাব। ওঁদের সঙ্গে আমাদের মতাদর্শের মিল আছে কি নেই সেটা এই মুহূর্তে অবান্তর প্রশ্ন। কিন্তু মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সমর্থনে সারা বিশ্ব জুড়ে একাধিক ব্লগার কিবোর্ড নিয়ে বসেছেন, সেই লেখাগুলো সঙ্কলিত করে দেওয়া হল পাঠকদের জন্য - তালিকাটি দেখা যাবে এই ব্লগপোস্টের শেষে।]    কি বলি বলুন তো  !এমন কিছু নতুন তো বলতে পারছি না যা আগে শোনেননি বা পড়েননি । এই নির্দিষ্ট  বিষয় নিয়ে হাজার হাজার শব্দ উচ্চারিত হয়েছে , লেখা হয়েছে । কেউ কিছু একটা লিখবে ,তার মতে , তার বিশ্বাস থেকে কিংবা বলবে- অমনি ঘাড়ে পড়বে 'চাপাতি' ! বেশ নাম ডাক হয়েছে ইদানীং এই যন্ত্রটির । কুপিয়ে দিয়ে তবেই শান্তি স্

নামকে ওয়াস্তে ...

বন্ধুর বাবার নাম ‘মোনালিসা’ !! কি ! হেঁচকি উঠলো তো ? ...কিংবা পাড়ার দুই যমোজ বোনের নাম ‘ জেরক্স’  ! এই জেরক্সের ব্যাপারটা বুঝলেও  বাবার নাম মোনালিসা –এটা একটু দুর্বোধ্য ঠেকতে বাধ্য । ব্যাপার হচ্ছে –সিম্পল – বন্ধুর বাবার পার্মানেন্ট মুখভঙ্গিটা এমনই যে কিছু দাঁত সব সময়ে বেড়িয়ে থাকে ,হঠাৎ করে কেউ দেখলে বিভ্রান্ত হতে বাধ্য – উনি বুঝি হাসছেন ! কিন্তু ওনার এটাই গড়পরতা এক্সপ্রেসন ! – এই হাসি -হাসিনয় রহস্যময়তার জন্যই – মোনালিসা নামকরন । কে কবে এই যথার্ত নামকরন করেছিলো আজ আর মনে নেই ।  সব বাবাদেরই একটা করে গোপন নাম ছিলো যা একমাত্র বন্ধু মহলেই ব্যাবহার করা হতো । যেমন – ‘স্মার্ট বয়’ ‘উৎপল(দত্ত)’, ‘জেমস বন্ড’ , ‘অমরীশ পুরি’ , ‘দিলীপকুমার’, ‘নাকাবন্দি’ ...আরও কত । ছিলো বন্ধুদেরও নাম ,যেমন ‘আঁতলা (আঁতেল)’ ‘টাকলা’ ‘লেটুয়া(ল্যাটা)’ ‘কাতলা’ , ‘এল কে (লাথখোর)’... আরও কত কি ! সব কি আর মনে আছে ছাই । স্কুলে স্যারেদেরও বেশ কিছু নাম ছিলো বেশ জনপ্রিয় যথা ‘ব্রেকড্যান্স’(নেচে নেচে নানান অঙ্গভঙ্গী করে পড়াতেন বলে) বা ‘মুকেশ’(নাকি সুরে পড়াতেন বলে) **এখন হলে হয়তো ‘হিমেশ’ হতো !! না না! এসব নামকরন স্রেফ ফাজ

গ্রীষ্মযাপন

                                            মাথার ওপর সিলিংফ্যানটাকে কেউ যেন টেনে ধরেছে , ঘুরছেই না যেন ! কেমন মিন মিন করে পাক খাচ্ছে ! কিছুক্ষন পর ঠিক যা আন্দাজ করেছিলাম তাই – ‘ক্যাঁও ক্যাঁও ’ করে বিচিত্র আওয়াজ করে এবার একদম স্থির হয়ে গেলো পাখা ! সব্বোনাশ ! এদিকে গরমে বস্ত্র উন্মোচন কত্তে কত্তে অন্তিম বস্ত্রখন্ডটিতে এসে পড়েছি । এরপর আর যাওয়া যাবে না ,গেলে তা সভ্যতার পরিপন্থী হবে ব্যাপারটা । অগত্যা আমাদের গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ( সধারনতঃ পুং) পোষাক বারমুডা নামক বিচিত্রদর্শন কটিবস্ত্রটি পরেই ছোটাছুটি – দৌড়া দৌড়ি লাঠি দিয়ে ,ঝুল ঝাড়া দিয়ে পাখাটার ওপর ঝাঁপিয়ে পরলাম – কৃত্রিম উপায় ঘুরিয়ে দিয়ে অনেক সময় চলতে শুরু করে সেই আশায় । অনেকটা ঠেলে গাড়ি স্টার্ট করার মতো । কিন্তু নাঃ ,নট নড়ন চড়ন । এরকম অভিজ্ঞতা আপনাদের হয়েছে কিনা জানিনা ,তবে না হয়ে থাকলে আপনার ভাগ্য প্রসন্ন । এই যেমন সুন্দর করে গন্ধ-সাবান দিয়ে স্নান সেরে গরমে পরার উপযুক্ত হাল্কা রঙএর পোষাক গায়ে চাপিয়েছেন কি চাপাননি – দুর্যোগের মত পাওয়ার কাট ! ব্যাস , কুল কুল করে বিভিন্ন শারীরিক সোঁতা বেয়ে ঘামের ধারা নেমে আসতে শুরু করলো , এমন নয় যে